সমৃদ্ধির জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর - bd24news.live //]]>

Breaking

bd24news.live

যখন ই ঘটনা তখন ই খবর

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

সমৃদ্ধির জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সমৃদ্ধির জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশবাসীর সঙ্গে একত্রে মিলে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হবে।
... জনগণের কল্যাণে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
এদেশ আমাদের, এদেশের যত উন্নতি হবে,মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার ততই উত্তোরণ ঘটবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান,বিজ্ঞান শিক্ষা, খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্ষেত্র গড়ে তুলে বাংলাদেশকে মর্যাদাবান জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মে পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদাকে সমুন্নত করবেন এবং জাতীয় উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলার জন্য আমাদের সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন স্তরে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা ও ঐকান্তিক ইচ্ছা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার উল্লেখ করে প্রধামন্ত্রী বলেন, আমি তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
আপনারা যেন চেইন অফ কমান্ড মেনে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন সেটাই আমার কাম্য।
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আজ তাদের সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোন দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে আর্তমানবতার সেবা ও জান-মাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী যে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বিপর্যস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ায় তা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকাও দেশে বিদেশে বহুল প্রশংসিত হয়েছে,বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং তিনবাহিনী প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং তাদের স্ত্রীগণ, কূটনীতিক এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সংবর্ধনায় অংশ নেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ…আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।

Post Top Ad