‘মাতারবাড়িতে ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই
পুনর্বাসিত হবেন’
বিস্তারিত
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে
ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই পুনর্বাসিত হবেন বলে
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও
কনফারেন্সে মাতারবাড়ি কয়লা
বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি এ
মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা
মেটাতে বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র
উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চাহিদার
সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন করা
হচ্ছে। মাতারবাড়িতে ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই
পুনর্বাসিত হবেন, কেউ বঞ্চিত হবেন না।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে যারা অর্থ পাননি,
তাদের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেখানে শুধু
বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠছে না, সঙ্গে
সঙ্গে ওই এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে
উঠবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে নতুন কিছু করতে
গেলেই বাধা আসে। কিন্তু আমি হতাশার
লোক নই, আমি আশাবাদী। সমালোচনা
হলেও আমি দেশের উন্নয়নে পিছপা হবো
না।’
প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০০
মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কয়লা ভিত্তিক
বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে সরকার। জাপানের
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা জাইকা
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করছে।
সরকারের বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনায়
মহেশখালীর মাতারবাড়িকে ‘বিদ্যুৎ হাব’
হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া
হয়েছে।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্র
প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য বন্দরটিই পরে
গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তর করা হবে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের
১৪১৪ একর জমিতে এই বিদ্যুত প্রকল্পটির
প্রাথমিক অবকাঠামোর ১৭ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে
শেষ হয়েছে।
গণভবনে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্প নিয়ে
একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন
করেন বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস। এ সময়
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-
ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা
গওহর রিজভী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল
হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ…আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।