সম্মেলন ১১-১২ মে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে আসছেন কারা? - bd24news.live //]]>

Breaking

bd24news.live

যখন ই ঘটনা তখন ই খবর

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

সম্মেলন ১১-১২ মে ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে আসছেন কারা?

সম্মেলন ১১-১২ মে
ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে
আসছেন কারা?

প্রচ্ছদ / এক্সক্লুসিভ / বিস্তারিত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন।
বাংলাদেশের সকল অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকা
অপরিমেয়। আগামী ১১-১২ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
এই ছাত্র সংগঠনটির ২৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের পরই
ঘোষণা হবে নতুন কমিটি। আগামী দিনে
ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছেন কারা। এ নিয়ে
বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে
নানান জল্পনা-কল্পনা। এ সম্মেলনের মাধ্যমেই নতুন
নেতৃত্বের হাতে উঠবে গৌরব-ঐতিহ্যের ধারক এ
ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব।
এরই মধ্যে পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের
সাথে দেখা করতে নিয়মিত আসা যাওয়া করছেন
তাদের বাসা কিংবা অফিসে। নেতাদের সুনজরে
আসতে চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন কর্মসূচি। এসব
ছাত্র নেতাদের জাতীয় দিবসগুলো ছাড়া অন্য
অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও এখন অংশ নিচ্ছেন সব
ধরনের অনুষ্ঠানে।
আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা
গেছে, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের দায়িত্বভার
পেতে পারেন আওয়ামী লীগের ৬ সিনিয়র নেতা।
তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন নির্বাচনের বছর
সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিবেন কারা।
বিগত সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর
বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। কমিটিতে বিবাহিত ও
অছাত্রদের না রাখার বিধান থাকলে তারাই বেশি
প্রাধান্য পায়। তবে এবারের কমিটিতে এই দুইটি
বিষয় বিবেচনা করে কমিটি দেওয়ার জন্য
সিনিয়রদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আগামীতে
নেতৃত্বে আসা প্রত্যাশীরা।
তারা বলেন, ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সংযুক্ত থাকবে। তারা
চাইলেই অছাত্র কিংবা বিবাহিতরা কমিটিতে
আসতে পারবে না।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ ২ বছর।
গত বছরের কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের বয়স
নির্ধারিত ছিল সর্বোচ্চ ২৯ বছর। তবে এবার তা
বাড়িয়ে ৩০ করার কথা শোনা যাচ্ছে। সে হিসেবে
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে
যাদের বয়স ২৯ তারাই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে
বিবেচিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
আগামী নেতৃত্বে যারা আসতে পারে এবং
নেতাকর্মীদের মুখে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন
বর্তমান কমিটির: রুহুল আমিন (সহ-সভাপতি), সোহান
খান (সহ-সভাপতি), মেহেদি হাসান রনি (সহ-
সভাপতি), আরেফিন সিদ্দিক সুজন (সহ-সভাপতি),
জাহাঙ্গীর আলম (সহ-সভাপতি), আল আমিন(সহ-
সভাপতি), আদিত্য নন্দী(সহ-সভাপতি), দিদার
মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম,(বর্তমান যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক) সায়েম খান (বর্তমান যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক) গোলাম রাব্বানী (শিক্ষা ও পাঠচক্র
সম্পাদক) ও শাহিদুল ইসলাম শাহেদ (যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক)।
আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, আগামী
কমিটিতে নারীদেরকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে। নতুন
নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নারীরা উঠে আসবেন
বলেও তিনি মনে করেন।
আলোচনায় উঠে আসা নারী ছাত্রলীগ নেত্রীদের
মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি
নিশিতা ইকবাল নদী, চৈতালী হালদার চৈতী ও উপ
আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইশাত কাসফিয়া ইরা।
বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে
আশিকুল পাঠান সেতু আলোচনায় রয়েছে। তিনি
বর্তমানে সক্রিয় ভাবে ছাত্রলীগের বিভিন্ন
কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন।বিভিন্ন আন্দোলনে
নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০১৩ সালের দিকে সরকার হটাতে বিএনপি-
জামায়াত জোটের আগুন সন্ত্রাসের সময়
জীবনবাজি রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম
খালেদা জিয়াকে রাজপথে রুখে দিয়ে আলোচনায়
এসেছিলেন বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক
আশিকুল পাঠান সেতু। ওই সময় নাশকতা বিরোধীদের
‘ধবল ধোলাই’ করতেও সক্রিয় ছিলেন এ নেতা। ফলে
তাকে ঘিরে নেতৃত্বের স্বপ্ন বুনছেন দলটির
বেশিরভাগ নেতাকর্মী। এছাড়াও এই পদ থেকে
রয়েছেন, দারুস সালাম শাকিল, শেখ জসিম উদ্দিন ও
শওকতুজ্জামান সৈকত।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন, রকিবুল ইসলাম
ঐতিহ্য সহ-সম্পাদক, খাদিমুল বাশার জয় (সহ-
সম্পাদক), এ বি এম হাবিবুল্লাহ বিপ্লব (পরিবেশ
সম্পাদক), চিন্ময় রায় (ক্রীড়া সম্পাদক), মাজহারুল
ইসলাম শামিম (প্রশিক্ষণ সম্পাদক), দেলোয়ার
শাহজাদা (দপ্তর সম্পাদক), আল নাহিয়ান খান জয়
(আইন সম্পাদক), সাইফ বাবু (প্রচার সম্পাদক), ইয়াজ
আল রিয়াজ (ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক), রাকিব
হেসেন (কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক) ও বরকত হোসেন
হালদার (কৃষি সম্পাদক)।
এদিকে বয়সের মারপ্যাচে বাদ পড়বেন সংগঠনটির
এমন নেতাদের দাবি আগামী জুলাই পর্যন্ত যাদের
বয়স সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩০ বছর রয়েছে
তাদের বিষয়টি যেন বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে
আলোচনায় রয়েছেন, আপেল মাহমুদ, সিনিয়র সহ-
সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সুরঞ্জন ঘোষ,
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতা। রুবেল
আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতা। নাজমুল
হাসান, সহ-সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ…আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।

Post Top Ad