সবকিছু ভুলে সিদ্দিকীসবকিছু ভুলে সিদ্দিকী নাজমুলের ঘরে ফেরা
ছাত্র রাজনীতি ছাড়লেও সারা দেশেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সিদ্দিকী নাজমুল আলমের অনুসারী-অনুগামী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ‘ধবল ধোলাই’ করতে ‘তেড়েফুঁড়ে স্টাইলে’ গরম গরম কথা বলা, দলের প্রয়োজনে অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ করা, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা প্রশ্নে একচুলও ছাড় না দেয়ার মানসিকতাসহ নানা কারণেই দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা রয়েছে সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার।






মান-অভিমান নিয়ে এতোদিন দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও ‘রাজপথ’ ছাড়েননি খানিক সময়ের জন্যও। ফেসবুকে বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার থেকেছেন। আবার যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকই রাজপথেই সমুচিত জবাব দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত চক্রকে।






রাজনীতিতে এমন বিশেষত্বের কারণেই ‘অতুলনীয়’ ওয়ান ইলেভেন জামানায় শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের এ প্রতিবাদী মিছিলের মুখ। ছাত্রলীগের তৃণমূলের রাজনীতিতে ঈর্ষনীয় জনপ্রিয় এ নেতার যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন অবস্থান করা নিয়ে অবশ্য দিনে দিনে কম জল ঘোলা করেনি তাঁর বিরুদ্ধবাদীরা।






কিন্তু ষড়যন্ত্রের সব বেড়াজাল ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঠিকই দেশে ফিরে এসেছেন গতানুগতিক ধারার বাইরের এ সাবেক ছাত্র নেতা। তাঁর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে দিন কয়েক আগেও গুজবের ডালপালা বিস্তার করা বিরুদ্ধবাদীদের মুখে নিজের চেনা স্টাইলে অদৃশ্যভাবে ‘চপেটাঘাত’ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।






জানা যায়, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আসেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরের সন্তান সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ছাত্রলীগকে ভালোবেসেছিলেন সেই শৈশবেই। আওয়ামী লীগের ঘোর দু:সময়ে, ওয়ান ইলেভেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন হটাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশজুড়ে একটি পরিচিতি গড়ে ওঠে তাঁর। পরবর্তীতে প্রায় তিন বছর ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে।






নেতৃত্বের ওই সময়টাতে ছাত্রলীগকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গুছিয়ে আনেন সিদ্দিকী নাজমুল। সারা দেশ সফর করে সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তিও মজবুত করেন। দলের কর্মীদের কাছে হয়ে ওঠেন ‘প্রাণভোমরা’।






সাংগঠনিক দক্ষতা ও বিচক্ষণতার অনেক ‘উদাহরণ’ তৈরি করে ছাত্র রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেবার দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এক বক্তব্য রেখে তৃণমূলের কর্মীদের হৃদয়-মস্তিষ্ককে নাড়িয়ে দেন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতির ইতিহাসে এ বক্তব্যকে এখনো ‘সেরা’ হিসেবেই মনে করেন দলটির তৃণমূলের একজন কর্মীও।






দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তাঁর উপস্থিতিতেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার আগে প্রধানমন্ত্রী নাজমুলকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় নাজমুলকে বলেন, ‘নাজমুল তুমি এখানে কেন? দেশে ফিরে আসো। দেশে তোমার প্রয়োজন আছে।’






সূত্র মতে, নাজমুলকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু কন্যার এমন ইতিবাচক আহবান প্রমাণ করে সাবেক এ ছাত্র নেতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মানবিক আবেগ ও অপার স্নেহ অটুট রয়েছে। ফলে নেত্রীর নির্দেশেই সব মান-অভিমানকে বিদায় জানিয়ে আবারো রাজপথকে আলিঙ্গণ করতেই দেশে ফিরে এসেছেন মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের কাছে মূর্তমান এ আতঙ্ক।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ…আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।